<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন মহিলা। কিন্তু অভিযুক্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সঙ্গী ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন ওই মহিলা। পাল্টা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো নিয়ে তাঁকেই ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। বরং বিবাহিত থাকাকালীন স্বামী ছাড়া অন্য় ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা হতে পারে বলে সতর্কও করা হল। (Supreme Court)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বুধবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকের জামিন বাতিল করা হোক বলে আবেদন জানান আদালতের কাছে। মহিলার আইনজীবী জানান, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান অভিযুক্ত। (Extramarital Affair)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কিন্তু আদালত অভিযুক্তের জামিন বহাল রাখে। বরং মহিলাকেই ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগকারিণীকে আদালত বলে, “আপনি বিবাহিতা। দুই সন্তান রয়েছে। বোধবুদ্ধি যথেষ্ট হয়েছে। বিয়ের বাইরে কী সম্পর্ক গড়ে তুলছেন, তা বোঝার যথেষ্ট বুদ্ধি রয়েছে।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এতে মহিলার আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত বার বার তাঁর মক্কেলকে ডেকে পাঠাতেন। হোটেলের ঘরে নিয়ে যেতেন এবং সেখানে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। এতে আদালত বলে, “ওঁর (অভিযুক্তের) ডাকে বার বার হোটেলে যেতেন কেন আপনি? বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে আপনিও অপরাধ করেছেন, তা নিশ্চয়ই ভাল করে জানেন আপনি।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ মহিলার। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মহিলা জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত। চলতি বছরের ৬ মার্চ বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু এখন আর তাঁকে বিয়ে করতে চাইছেন না অভিযুক্ত।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এর পরই, বিহার পুলিশের কাছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে ওই যুবক শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন বলে জানান। পটনা হাইকোর্টে গোড়াতেই জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত। বিবাহবিচ্ছেদের পর ওই মহিলার সঙ্গে আর অভিযুক্ত শারীরিক সম্পর্কে জড়াননি বলে জানায় আদালত। সেই জামিনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে <a title="সুপ্রিম কোর্ট" href="https://ift.tt/R0Kmb4e" data-type="interlinkingkeywords">সুপ্রিম কোর্ট</a>ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা।</span></p>
from india https://ift.tt/FjGJ2b6
via IFTTT
0 Comments