Madhya Pradesh News: ভ্রূণ মৃত বলে দাবি করে গর্ভপাত করাতে চেয়েছিল সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি নার্সিংহোমে দিব্যি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>সাতনা:</strong> সন্তান গর্ভেই মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে গর্ভপাতের পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে যেতে দেখা গেল, দিব্যি বেঁচে আছে গর্ভের সন্তান। সেখানে সুস্থ সন্তানে জন্মও দিলেন মহিলা। এই ঘটনা ফের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। (Madhya Pradesh News)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। রামপুর বাঘেলানের চখেরা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গা দ্বিবেদী। গর্ভযন্ত্রণা শুরু হলে সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ অমরপাতান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জটিলতা থাকায় সর্দার বল্লভভাই পটেল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাি দুর্গার গর্ভের সন্তানকে মৃত ঘোষণা করে দেন বলে অভিযোগ। (Public Healthcare)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা বেজে ৩০ মিনিটে সর্দার বল্লভভাই পটেল জেলা হাসপাতালে প্রসূতিকে নিয়ে পৌঁছন তাঁরা। নিয়ম মেনে রক্ত পরীক্ষা করা হয় সেখানে। সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক জানান, ডপলার টেস্টে ভ্রূণের হৃদস্পন্দ পাওয়া যায়নি। আলট্রাসাউন্ডে নড়াচড়াও করতে দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ প্রয়োগ করে গর্ভপাত করানোই ঠিক হবে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কিন্তু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কথায় বিশ্বাস করে গর্ভপাত করানো উচিত মনে হয়নি দুর্গার স্বামী রাহুল দ্বিবেদির। সেকেন্ড ওপিনিয়নের জন্য একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। সেখানে দেখা যায়, ভ্রূণটি দিব্যি বেঁচে রয়েছ, যথেষ্ট সুস্থও রয়েছে। সন্তান জন্ম দেওয়ায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানানো হয় সেখানে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এর পর আর দেরি না করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে দুর্গাকে ভর্তি করেন তাঁর স্বামী। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হলে পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। সদ্যোজাতর ওজন ছিল ৩.৮ কেজি। মা এবং সন্তান, দু&rsquo;জনই সুস্থ এই মুহূর্তে।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">এই গোটা ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন রাহুল। পরিবারের এক সদস্য বলেন, &ldquo;ওঁদের কথা শুনলে তো আমাদের জীবিত বাচ্চাকে মেরে ফেলা হতো!&rdquo; সাতনার চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ অফিসার জানান, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের ডিন এবং সার্জনকে চিঠি দিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যে চিকিৎসক ভ্রূণটিকে মৃত বলে দাবি করেছিলেন, গর্ভপাতের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তো বটেই, যাঁরা ডাক্তারি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলছেন পরিবারের লোকজন। এমন হলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থার উপর মানুষ বিশ্বাস হারাবেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।</span></p>

from india https://ift.tt/Hf2xzce
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments

EC On Mamata: 'মাইক্রো অবজার্ভাররা সবাই এরাজ্যের..', মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দিল কমিশন