Sheena Bora Murder Case: সর্বস্ব খোয়ান ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, ৭ কোটি টাকা, গয়না হাতিয়ে নেন সৎ ছেলেরা? শিনা বরা কাণ্ডে নয়া তথ্য

<p><span style="font-weight: 400;"><strong>মুম্বই:</strong> নিজের মেয়েকে হত্যার দায়ে জেল খেটেছিলেন। গোটা দেশের সামনে রাতারাতি খলনায়িকা হয়ে উঠেছিলেন। এত ঝড়ঝাপটা কাটিয়েও ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। শিনা বরা হত্যাকাণ্ডের সেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ফের খবরের শিরোনামে। এবার জানা গেল, নগদ ৭ কোটি টাকা, গয়নাগাঁটি, সব খোয়া গিয়েছিল তাঁর। অন্য কেউ নন, সৎ ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। (Indrani Mukerjea)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ইন্দ্রাণীর ছোট মেয়ে বিধি মুখোপাধ্যায় আদালতে এই তথ্য তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার বয়ান রেকর্ড করতে রাজি হননি বিধি। বরং তাঁর নামে যে নথিপত্র আদালতে তুলে ধরে CBI, সেগুলিকে জাল বলেও দাবি করেন তিনি। CBI আদালতের বিচারক জেপি দারেকরের সামনে মঙ্গলবার হাজিরা দেন বিধি। তিনি জানান, শিনা বরা হত্যাকাণ্ড যখন সামনে আসে, সেই সময় নাবালিকা ছিলেন তিনি। মায়ের গ্রেফতারি থেকে আর যা যা ঘটছিল, তাতে মানসিক ভাবে ঠিক ছিলেন না তিনি। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিশ। (Sheena Bora Murder Case)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পুলিশের প্রশ্নের উত্তর দিলেও কোনও বয়ান রেকর্ড করাননি বলে জানান বিধি।&nbsp; তাঁর দাবি, তাঁকে দিয়ে কিছু কাগজে সই করিয়ে নেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা, সাদা কাগজেও সই করানো হয়, পরে সেগুলিকেই শিনার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রতিলিপি বলে তুলে ধরা হয়।&nbsp; তাঁর নামে যে নথিগুলি CBI চার্জশিটে যুক্ত করেছে, সেগুলিকে সরাসরি জাল বলে উল্লেখ করেন বিধি। এর নেপথ্যে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর মা ইন্দ্রাণী এবং জন্মদাতা পিতা সঞ্জীব খন্নাকে ফাঁসাতে এই চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বিধি আদালতে জানান, ইন্দ্রাণীর বোন হিসেবেই প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন শিনা। তাঁরা পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠেন। কিন্তু ইন্দ্রাণীর তৃতীয় তদানীন্তন স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক গড়ে উঠলে, তাঁদের বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে। রাহুল এবং শিনা নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। পরিবারের সকলে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন। ২০১১ সালে গোয়ায় একটি বিয়েবাড়িতে শিনার সঙ্গে শেষবার দেখা হয় এবং ২০১৩ সালে ইমেলে শেষবার কথা হয় বলেও জানিয়েছেন বিধি।</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আইনি লড়াই চালাতে অক্ষমতার কথা জানাতে গিয়েই রাহুল এবং পিটারের আর এক ছেলে রবিনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বিধি। তিনি জানান, ইন্দ্রাণীর কাছে আর কোনও টাকাপয়সা নেই। &nbsp; ইন্দ্রাণীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছেন রাহুল ও রবিন। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কয়েক কোটি টাকার গয়নাও তাঁরা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ইন্দ্রাণী।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বিধির দাবি, ইন্দ্রাণী গ্রেফতার হওয়ার পরই পিটারের বাড়ির লোকজন কার্যত হামলে পড়েন। ইন্দ্রাণীর কোন জিনিস কে নেবেন, তা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। কেউ ব্যাগ হাতিয়ে নেন, কেউ দামি পারফিউম। রবিন তাঁকে হুমকি দেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ নেওয়ার জন্য। সম্পত্তি থেকে বেদখল করার হুমকিও দেওয়া হয়। সেই সময়ই ইন্দ্রাণীর কয়েক কোটি টাকার গয়না এবং ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে দাবি বিধির। রাহুল এবং রবিন একটি লকারে ইন্দ্রাণীর গয়না রেখেছিলেন বলেও জানান। তবে পিটার এব্যাপারে কিছু জানতেন না বলেই মত বিধির। ইন্দ্রাণী জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যদিও ওই টাকা ও গয়না ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন রাহুল এবং রবিন।&nbsp;</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">২০১৫ সালে শিনা বরা হত্যাকাণ্ড সামনে আসে। ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যামবর রাই পুলিশকে জানান, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নিজের মেয়ে শিনাকে গলা টিপে হত্যা করেন ইন্দ্রাণী। রায়গড়ের জঙ্গলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় শিনার দেহ। এর পর ইন্দ্রাণী, পিটার এবং ইন্দ্রাণীর আগের পক্ষের স্বামী সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলার জেরেই ২০১৭ সালে পিটারের থেকে আলাদা হয়ে যান ইন্দ্রাণী। কিন্তু প্রায় একদশক কেটে গেলেও, সেই মামলার কিনারা হয়নি। পিটার, ইন্দ্রাণী জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন।</span></p>

from india https://ift.tt/yKTib1z
via IFTTT

Post a Comment

0 Comments