<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি: </strong>বাণিজ্যশুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে সম্পর্ক কি ফের স্বাভাবাকি হবে? ভারতের উপর চড়া শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে দেখবে কি আমেরিকা? স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এই প্রশ্নের জবাব দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের সঙ্গে ‘ভাল বোঝাপড়া’র কথা মেনে নিলেও, তাঁদের তরফে যে অসন্তোষ রয়েছে, বুঝিয়ে দিলেন। (Donald Trump)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে মঙ্গলবার ফের ভারতকে নিয়ে মুখ খোলেন ট্রাম্প। শুল্ক লাঘব করার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া ভাল। কিন্তু বহু বছর ধরে এই সম্পর্ক একতরফা। এখন, আমি আসার পর এবং আমাদের যে ক্ষমতা রয়েছে…ভারত এতকাল চড়া শুল্ক নিয়ে আসছিল আমাদের থেকে। আমরা কিন্তু ওদের সঙ্গে বেশি ব্যবসাও করছিলাম না। ওরা করছিল। আর বোকার মতো ওদের থেকে শুল্ক নিচ্ছিলাম না আমরা।” (US Tariff on India)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতের বাণিজ্যনীতিতে আমেরিকার ব্যবসায়ীদের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ওরা বিপুল পণ্য এদেশে রফতানি করত। যা কিছু উৎপন্ন হতো, সব এখানে পাঠিয়ে দিত ওরা। ফলে আমাদের এখানে ওইসব জিনিসের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা কাম্য নয়। কিন্তু আমরা ওদের দেশে পণ্য পাঠাতে পারতাম না। কারণ আমাদের থেকে ১০০ শতাংশ করে শুল্ক আদায় করত ওরা।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;"><iframe style="border: none; overflow: hidden;" src="https://ift.tt/oEip6I5" width="267" height="476" frameborder="0" scrolling="no" allowfullscreen="allowfullscreen"></iframe></span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতের জন্য আমেরিকার কী ক্ষতি হয়েছে, তার উদাহরণও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বলেন, “হার্লে ডেভিডসন ভারতের বাজারে ব্যবসা করতে পারছিল না। কারণ মোটর সাইকেলের উপর ২০০ শতাংশ কর চাপিয়ে রেখেছিল ওরা। ফলে কী হল? হার্লে ডেভিডসনকে ভারতে কারখানা গড়তে হল। এখন আর শুল্ক দিতে হচ্ছে না। আমাদের মতোই।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">আমেরিকা এতদিন নরম ছিল বলেই দেশের সংস্থাগুলিকে বিদেশের মাটিতে কারখানা গড়তে হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, “আমাদের সরকারের শুল্কনীতি সেই অবস্থানে পরিবর্তন ঘটাছে। এখন গাড়ি, AI সংস্থাগুলি আমেরিকায় আসছে। কত গাড়ি সংস্থা এখন এখানে উৎপাদন করছে। চিন থেকেও সংস্থা এখানে আসছে, মেক্সিকো থেকে আসছে, কানাডা থেকে আসছে। আমাদের দেশে উৎপাদন করতে চায় বলেই আসছে। এখানে আসতেও ইচ্ছুক ওরা, পাশাপাশি, শুল্কনীতি দ্বারা এখন সুরক্ষিতও। চড়া শুল্ক দিতে হবে না আর। এখানে গাড়ি তৈরি করলে আর শুল্ক দিতে হবে না।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">ভারতের তরফে শুল্কছাড়ের প্রস্তাব এসেছে বলেও মঙ্গলবার দাবি করেন ট্রাম্প। ভারত কোনও শুল্ক না নিতে প্রস্তুত। কিন্তু সিদ্ধান্তগ্রহণে বেশ ঢিলেমি চোখে পড়ছে বলেও মত তাঁর। ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ভারত দেশের কৃষক, ব্যবসায়ীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।</span></p>
from india https://ift.tt/nHTG09R
via IFTTT
0 Comments