<p><span style="font-weight: 400;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে জেলবন্দি। ইনফ্লুয়েন্সার জ্যোতি মালহোত্রর সঙ্গে এবার দেখা করলেন তাঁর বাবা হরীশ মালহোত্র। মেয়ের জন্য নতুন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি মেয়ের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তাঁর, সেই তথ্য়ও সামনে এসেছে। (Jyoti Malhotra)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">পহেলগাঁও হামলার পর পাক সংযোগের দরুণ পর পর বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়, জ্যোতি যাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভ্রমণসূচক ভিডিও-র জন্য পরিচিত ছিলেন জ্যোতি। পাকিস্তান ভ্রমণেও গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। (Espionage Case)</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জ্যোতির পাক সংযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত নানা তথ্য় উঠে এসেছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI এজেন্টদের তিনি ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচার করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জ্যোতি এখনও পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করে আসছেন। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">বুধবার জেলে বাবা দেখা করতে গেলে ভেঙে পড়েন জ্যোতি। বাবাকে জানান, কোনও অন্যায় কাজ করেননি তিনি। শীঘ্রই আসল সত্য সামনে আসবে এবং তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন। মেয়ের জন্য নতুন আইনজীবীও নিয়োগ করেছেন বাবা হরীশ। হিসার আদালতে জ্যোতির হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী কুমার মুকেশ। আগামী ৯ জুন শুনানি রয়েছে। এই মুহূর্তে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন জ্যোতি। হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে।</span></p> <blockquote class="twitter-tweet"> <p dir="ltr" lang="en"><a href="https://twitter.com/hashtag/WATCH?src=hash&ref_src=twsrc%5Etfw">#WATCH</a> | Hisar, Haryana | Jyoti Malhotra espionage case| Kumar Mukesh, Jyoti Malhotra's lawyer, says, "Jyoti Malhotra appointed me as her advocate yesterday. Today, I have submitted the Vakalatnama for the same in court. I will study the case and then say anything further. The… <a href="https://t.co/R7mACop6Z8">pic.twitter.com/R7mACop6Z8</a></p> — ANI (@ANI) <a href="https://twitter.com/ANI/status/1927982853595484531?ref_src=twsrc%5Etfw">May 29, 2025</a></blockquote> <p><span style="font-weight: 400;">জ্যোতির মামলা গ্রহণ করে মুকেশ বলেন, “কালও আমাকে নিয়োগ করেছেন জ্যোতি মালহোত্র। আদালতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু তথ্য চেয়েছি আমি। সেগুলো হাতে পেলে তবেই কিছু বলতে পারব।” মুকেশও জ্যোতির সঙ্গে জেলে দেখা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “উনি (জ্যোতি) অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তদন্তে কী পাওয়া গিয়েছে, তা চার্জশিট এলে তবেই বোঝা যাবে। সব গোপন রাখা হয়েছে। আমি তথ্য় চেয়েছি। সেগুলো দেখেই কিছু বলতে পারব।”</span></p> <p><span style="font-weight: 400;">জ্যোতির ব্য়াঙ্ক লেনদেন নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই নিয়ে মুকেশ বলেন, “ভ্লগারের অ্যাকাউন্টে টাকা তো ঢুকবে? টাকা কোথা থেকে এসেছে দেখতে হবে। দেখতে হবে পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স বা ISI-এর কাছ থেকে এসেছে কি না। নইলে টাকাতো আসতেই পারে। ভ্লগারের কাছে তো স্পন্সরশিপের টাকা আসেই।” পাক সংযোগ নিয়ে মুকেশ জানান, পুলিশকে অপরাধ প্রমাণ করতে হবে। মুকেশ জানিয়েছেন, জ্য়োতির জ্যেঠুর এটিএম কার্ড পর্যন্ত জমা নেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলে। জ্যোতির স্কুটার পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">২৬ বছর বয়সি জ্যোতির বিরুদ্ধে পাক আধিকারিক আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালে দিল্লি হাই কমিশনে তাঁদের সাক্ষাৎ হয় বলে জানা গিয়েছে। দু’বার জ্যোতি পাকিস্তান যান বলে খবর। তাঁর ফোন, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনও পাকিস্তানকে তিনি তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। </span></p> <p><span style="font-weight: 400;">কিন্তু একজন ইনফ্লুয়েন্সারের হাতে স্পর্শকাতর তথ্য পৌঁছল কী করে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু হিসারের এসপি শশাঙ্ক কুমারের দাবি, জ্যোতির কাছে স্পর্শকাতর তথ্য় ছিল বলে এখনও পর্যন্ত কোনও পোক্ত প্রমাণ মেলেনি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর সংযোগ ছিল বলে জানা যায়নি। কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। লাহৌরের অনারকলী বাজারে জ্যোতির সঙ্গে ছ’-ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী দেখা যায় একটি ভিডিও-তে। অত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীর কেন প্রয়োজন পড়ল, উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু মুকেশের দাবি, সব পক্ষ জানা দরকার। পাকিস্তানের গুরুদ্বারে গেলে নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে থাকে, যাতে কোনও বিপদ না হয়। ভিডিও বানাচ্ছিলেন জ্যোতি। হতে পারে সেই জন্যও গার্ড ছিল। </span></p>
from india https://ift.tt/WIpTa6d
via IFTTT
0 Comments